অধিকার আদায়ের নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অতুলনীয়, এদিক দিয়ে অগ্রজ মহান নেতারা তাঁর কাছে লীন হয়ে যায় আর অনুজদের কথা টেনে আনলে হবে মূর্খামি। জীবনের ৪৬৮২দিন বা প্রায় তের বছর কারাগারে থেকেছে অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে। সেই স্কুল জীবন থেকে পা দিয়েছিলেন লড়াইয়ে, ৭১ এসে পেয়েছিলেন সফলতা এবং মুক্ত করেছিলেন বাংলাদেশের মানুষদের।
তাঁর যেমন জনপ্রিয়তা ছিল তেমনি তাঁর শত্রু ও তাদের দোসরও কম ছিল না। তাদের মধ্যে ছিল আবার অনেক চাটুকারের দল। তাদের জন্য এবং স্বাধীনতা অর্জনের সফলতার জন্য দম্ভে অধিকহারে আমিত্ব ব্যবহারে কিংবা নতুন রাষ্ট্র চালনা করার অনভিজ্ঞতার জন্য তাঁর শাসনামল অনেকটা প্রশ্নবিদ্ধ এবং সমালোচনার জায়গা তৈরী হয়েছিল এটা সত্যি। কিন্তু তাঁকে সংশোধনের সুযোগটা দেওয়া হলো কোথায়? উল্টো ৭১-এর প্রতিবিপ্লব ঘটিয়ে সেসব কুলাঙ্গের দল নিয়ে আসলো আমাদের ইতিহাসের এই কালো অধ্যায়, ১৯৭৫ এর আগস্ট মাস। যে ভার পুরো জাতি বইবে সারাটি জীবন।
তাছাড়া ৭৫ পরবর্তী শাসকবর্গ, তাঁর ক্ষণিকের শাসন ব্যবস্থার প্রশ্নবিদ্ধ জায়গাগুলোকে ব্যবহার করে তাঁর সারা জীবনের অর্জন ও অবদানগুলো মুছে দিতে চেয়েছিল যা ছিল রীতিমতো অপরাধ। যার কারণে এখনো অনেক সাধারণের কাছে বঙ্গবন্ধু ৭২-৭৩ পরবর্তী বঙ্গবন্ধু হয়ে আছে। অথচ এদেশে বঙ্গবন্ধুর সম্মান পাওয়ার কথা ছিল বিশ্ব নন্দিত মহৎ নেতাদের মত অন্তত মহাত্মা গান্ধী কিংবা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ মত। কিন্তু দেশের মধ্যে কয়জন তাঁর মহৎ স্যাক্রিফাইসকে অনুধাবন করতে পেরেছে কিংবা তাঁকে দিতে পেরেছে সেরকম সম্মান আর শ্রদ্ধা?
১৫/০৮/১৮
No comments:
Post a Comment