হেঁটে চলেছি আমি পিচের পথ ধরে
সাদা তুলো মেঘ গুলোকে সাথে করে
এদিক-ওদিক তাকাই
দেখি অহর্নিশ মানুষের মুখ--
কিন্তু কোথাও কারও অস্তিত্ব নাই।
তারা কোথায় চলেছে কে জানে?
স্বপ্ন বিলাসী যারা
এই পথে হাঁটে না তারা,
বেঁচে থাকতে চায় মুঠো মুঠো স্বপ্ন নিয়ে
শরতের মেঘের মত ভেসে বেড়ায়
টুকরো টুকরো ভালোবাসা দিয়ে।
তবুও কি তারা বাঁচে ঐসব মানুষের মতন?
যারা জীবনটাকে বেঁধে ফেলেছে
একই চক্রের বন্ধনে
নিজের ছবি দেখতে কি পায় তারা
ময়লার স্তুপে কিংবা ধোঁয়ার ধূপে?
তবুও তারা চলে, চলে চক্রের স্তুপে
কী আছে তাতে সুখ?
কী আছে তাতে মাহত্ম?
সেতো জানবার কথা নয়,
দাদা-ছেলে-ছেলের ছেলের মাঝে
যারা বেঁচে থাকতে চায়
তাদের কি সেই বোধ জন্ম লয়?
তারা শুধু মেটাতে চায় বস্তাপঁচা আশ
মুখে মুখে বুকেতে তাদের
অন্তঃসারশূন্য বিশ্বাস।
এসব দেখি আমি এক পলকে
দুঃখ ভর করে,
একাকি হেসে হেসে
ছল ছল জল নেমে আসে চোখে।
আর ভাবি, আমি কি তাদেরই একজন?
মানুষরূপী আমার কি নেই মানুষের মন!
হয়তো নেই,
হয়তো আছে
মন কি তার হিসেব কষেছে--
জানি না আমি।
জানি না আমি--
কোথায় হবে আমার শেষ
হয়তো থাকবে না অস্তিত্ব,
হয়তো চিরকাল থাকবে অবশেষ।
_________________________________________
০২.১০.২০১৯
সোনারগাঁও